বাংলাদেশ: বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় কৃষি দিবস পালন করা হয় ০১ অগ্রহায়ণ ১৪১৫ বাংলা (১৫ নভেম্বর ২০০৮)। দেশের কৃষিখাতে কর্মরত সবস্তরের মানুষের অবদানের স্বীকৃতি ও কৃষি খাতের সার্বিক কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে ০১ অগ্রহায়ণ (১৪১৫) ‘কৃষিই সমৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্য ঘোষণায় প্রথম পালিত হয় দিবসটি।
১৬ অক্টোবর ২০০৮ আন্তর্জাতিক খাদ্য দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তৎকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ বছরে কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে বিশেষায়িত একটি দিবস ঘোষণার কথা বলেন। সে অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্ঠার সভাপতিত্বে ০৯ নভেম্বর ২০০৮ উপদেষ্ঠা পরিষদের বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উত্থাপিত ০১ অগ্রহায়ণ জাতীয় কৃষি দিবস প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বাংলাদেশে শুভাগমণ ঘটে জাতীয় কৃষি দিবসের।
তাঞ্জানিয়া: পূর্ব আফ্রিকার দেশ তাঞ্জানিয়ার কৃষি দিবস- ‘ঘধহব ঘধহব’ (নানে নানে) ০৮ আগষ্ট। প্রতি বছর সরকারী ভাবে কৃষি উন্নয়ন বিষয়ক কর্মকান্ডের পর্যালোচনা ও নতুন উদ্ভাবিত ফসলের প্রদর্শনীয় মাধ্যমে নানে নানে উদযাপন করা হয়।
এ দিবসের অনুষ্ঠান মালায় দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রীসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকেন। নানে নানে দিবসে তাঞ্জানিয়ায় সরকারী ছুটি থাকে।
আফগানিস্তান: প্রতি বছর ২০ মার্চ নওরোজ (কৃষি দিবস/উৎসব) ‘যাসনি দেহকান’ আফগানিস্তানে পালিত হয়। যাসনি দেহকানে প্রত্যেক কৃষক-কৃষাণীর জন্য কৃষি বিষয়ক কাজ-কর্ম করা সামাজিক ভাবে অনেকটা বাধ্যতামূলক।
সাধারণত: এ দিবসে কৃষক-কৃষাণীরা কৃষি কাজের সুবিধার্থে সেচ-নালা পরিস্কার করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নতুন সেচ-নালা তৈরীর চেষ্টা করেন।
যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশে বিভিন্ন সময়ে কৃষি দিবস/উৎসব উদযাপিত হয়। ২০০৫ সাল থেকে আইওয়াতে ১০-১২ জুলাই তিন দিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষি উৎসব উদযাপন করা হয়।
এ দিবস পালনের মাধ্যমে সেখানকার কৃষক-কৃষাণীরা সামনে কৃষি ক্ষেত্রে ভাল দিনের স্বপ্ন দেখেন।
ঘানা: চরম খাদ্য সংকটে নিপতিত ঘানায় সাধারণত: প্রতি বছর ৫ ডিসেম্বর পালিত হয় কৃষক দিবস। তবে খাদ্য সংকট মোকাবেলার সংগ্রামকে জোরদার করার প্রচেষ্টাকে তরান্বিত করতে ২০০৮ সালে ০৭ নভেম্বরে ব্যতিক্রমীভাবে ঘানায় পালিত হয় কৃষি দিবস।
লেখক: ইসলাম ধর্ম, হোমিওপ্যাথি ও কৃষি বিষয়ক লেখক ও গবেষক।