ওসমানীনগরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে মাদ্রাসা ছাত্রী জনি বেগম। সে উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের চান্দরগাঁও গ্রামের দুদু মিয়ার মেয়ে এবং মাদারবাজার এফইউ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ছাত্রী। বিগত জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সে অকৃতকার্য হয়েছিল।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল আজাদ ফারুক জানান, দুদু মিয়া তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে জনিকে (১৫) আনুষ্ঠানিক ভাবে পার্শ্ববর্তী ধনপুর গ্রামের করিম ড্রাইভারের ছেলে রাকিবের সাথে বিয়ে দিতে যাচ্ছিলেন। ২০জুলাই শুক্রবার ছিল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। খবর পেয়ে আমি বিষয়টি উপজেলা ও থানা প্রশাসনকে অবহিত করে শুক্রবার সকালে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দিক নির্দেশনায় থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে এই বাল্য বিয়েটি বন্ধ করতে সক্ষম হই। বর রাকিবও অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলে জানিয়েছেন ওসমানীনগর থানার এসআই গৌতুম সরকার।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে জেডিসি পরীক্ষার কাগজে জনির জন্ম সাল ২০০৩ এর স্থলে কারসাজির মাধ্যমে তার মাদ্রাসার অফিস সহকারি নয়ন মিয়া ২০০০ সাল বানিয়ে দেন। তবে নয়ন মিয়া তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগটি ভিত্তিহীন। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছু রহমান বলেন, ওসমানীনগর বাল্য বিবাহমুক্ত একটি উপজেলা। শুক্রবার এলাকায় একটি বাল্য বিবাহের খবর পাওয়ামাত্র তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে বিয়েটি বন্ধ করি।