তবে এই ঘটনার পর নোয়াখালীর সেনবাগের এক ভবঘুরে যুবক জজ মিয়া গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাজির করা হয় আদালতে। নানা প্রলোভন আর অত্যাচার নিপীড়ন করে হামলার দায় স্বীকার করতে রাজি করানো হয় তাকে। কিন্তু অচিরেই রহস্য উন্মোচিত হয় নৃশংস এই নারকীয় হত্যাকান্ডের। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নতুন করে তদন্তের পর দেয়া হয় অভিযোগপত্র। ৬১ জনের সাক্ষ্য নেয়ার পর ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অধিকতর তদন্ত করে দেয়া হয় সম্পূরক চার্জশিট। আসামি করা হয় তারেক রহমান, হারিস চৌধুরীসহ ৩০ জনকে। মোট আসামি সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জনে। এদের মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ আসামি পলাতক রয়েছে।
রায়ে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে প্রত্যাশা অ্যাটর্নি জেনারেলের। ইতোপূর্বে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে রাষ্ট্রপক্ষ এ দাবি করে আইন অনুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার আর্জি পেশ করে রাষ্ট্রপক্ষ। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আশা করছেন তাদের মক্কেলরা খালাস পাবেন। এদিকে,আলোচিত এই মামলার রায়কে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।