দুটি উপজেলার বসুরহাট ও কবিরহাট পৌরসভা এবং ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬১ হাজার। এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একচেটিয়া আধিপত্য নেই। পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায়, ১৯৯১ জাতীয় পার্টি থেকে ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে হেরে গিয়ে মওদুদ আহমদ বগুড়া থেকে এমপি হন। অন্যদিকে ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে এ আসনে এমপি হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ অবস্থায় বিএনপি যেমন হারানো আসন পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট, তেমনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও চায় জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। দুই দলের নেতাকর্মীদেরও মনোভাব কেউ কারে নাহি ছাড়ে, সমানে সমান।
এই আসনে বর্তমান সরকারের আমলে যোগাযোগ-শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মুছাপুর ক্লোজার, জোড়ালগঞ্জ-সোনাপুর সড়ক, নোয়াখালী খাল পুনঃখনন ও নদী রক্ষা বাঁধ, বসুরহাট কল্যান্দি-সেনবাগ সোনাইমুড়ি সড়ক সব মিলিয়ে হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়েছে। এ ছাড়া শতভাগ বিদ্যুতায়ন অনেক বড় সাফল্য। স্কুল, কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসায়ও ব্যাপক উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করেছেন ওবায়দুল কাদের। তাই শুধুমাত্র দলের নয়, এলাকার সাধারণ মানুষ তার প্রতি সন্তুষ্ট। এসব উন্নয়নের বিষয় মাথায় রেখেই আগামী নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন এমনটাই এলাকার দলীয় নেতা-কর্মীর।
এদিকে, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও বিভিন্ন সময়ে তাঁর দল ক্ষমতায় থাকাকালীন উপরাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রী ছিলেন। কোম্পানীগঞ্জের উন্নয়নে তিনি অনেক কাজ করেছেন। তার সময়কালে এ এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ হয়েছিল, বিসিক শিল্প নগরী, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, বসুরহাটের চর কাকরায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি), নোয়াখালী জেলা জজ আদালত কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়নকাজ করেছেন। তাই তাঁর দলের নেতা-কর্মী ও বেশ আশাবাদী ব্যারিস্টার মওদুদের জয়ের ব্যাপারে।
সব মিলিয়ে জেলার ৬টি আসনের মধ্যে এই আসনে এবারও জমজমাট ভোটের লড়াই হবে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে ।