লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব কিন্তু এ ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলিতে কোন প্রতিক বরাদ্ধের কথা জানা যায়নি। তার বদলে থাকে প্রার্থীর নাম ও ছবি। একসময় কিন্তু এ ছবিও থাকতো না। কেবলমাত্র নামের উপর ভিত্তি করেই ভোটারগণ প্রার্থী সনাক্ত করে ভোট দিতেন।
লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ব্যালটে ছবি সংযুক্ত করারও একটা ইতিহাস ও বিশেষ কারণ রয়েছে। যদি সে কারণটি তখন সংগঠিত না হতো তবে এখনও ছবিবিহীন ব্যালটে শুধু নাম দেখেই ভোট দিতে হতো সবাইকে। ছবি সংযুক্ত করার এই বিশেষ কারণটি হলো, একই নামে একাধিক প্রার্থী। কোন কোন সময় সেটা পরিলক্ষিত হয় একই পদে আবার কোন কোন সময় ভিন্ন ভিন্ন পদে।
এবারেও এর ব্যতিক্রম নয়। ভোট দেয়ার সময় ব্যালট পেপারে ভোটারগণ প্রার্থীর নামের সাথে ছবিও দেখতে পাবেন। বিগত দিনের কোন কোন নির্বাচনে ছিল একই পদে সমপর্যায়ের নামের দুইজন প্রার্থী। কিন্তু এবার ভিন্ন পদে রয়েছেন প্রায় একই নামের দুইজন প্রার্থী। এ পর্যায়ে তাদের মূল নাম একই, ব্যতিক্রম শুধু নামের শুরুতে এবং শেষদিকে। ভোটারগণ একটু খেয়াল করলেই তা সনাক্ত করতে পারবেন।
লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠালগ্নে আরো একটি বৈশিষ্ঠ্য ছিল যে, তখন কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো না। আলাপ-আলোচনা করে সিলেকশনের মাধ্যমে নির্বাহী কমিটি গঠিত হতো। পর্যায়ক্রমে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন থেকে প্রতি দুই বছর পর পর সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়ে থাকে।
পাঠকবৃন্দ। আমার এসব প্রতিবেদন এতদিন সংবাদ হিসাবে নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।। কিন্তু অনেকে এসব সংবাদ অন্যান্য সূত্র থেকে পেয়ে যান বিধায় তাঁরা একটু ভিন্ন আমেজের লেখা তুলে ধরার আহবান জানিয়েছেন। গতবারও আমি এভাবে নির্বাচনের পূর্বে ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের ব্যতিক্রমী প্রতিবেদন লিখেছিলাম। যেগুলি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। তাই এখন থেকে পাঠকদের কথা বিবেচনা করেই সেভাবেই প্রতিবেদন প্রকাশ করার প্রচেষ্ঠা চালাবো। তবে আপনাদের কোন মতামত থাকলে নিম্নোক্ত ই-মেইলে তা জানালে খুশি হবো।
ইমেইল : info@dorpon.co.uk