নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ ২৬২ রানের লক্ষ্য ৩০ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে গেছে তারা।
তামিম ইকবালের সঙ্গে শতরানের জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন সৌম্য সরকার। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ফিফটি। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৮০ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল। বাকিটা সহজে সারেন দুই ব্যাটিং ভরসা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
এর আগে টস ভাগ্যে সফল হওয়ার পর প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ক্যারিবীয়ান দলনেতা জেসন হোল্ডার। তবে ব্যাটিংয়ে অনেক বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগানো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বেশি দূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। শেষের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে লক্ষ্যটা হাতের নাগালে রেখেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। দারুণ সূচনার পরও ৯ উইকেটে ২৬১ রানে থেমেছে ক্যারিবিয়ানরা।
অধিনায়ক দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। প্রথম স্পেলে আঁটসাঁট বোলিং করা অভিজ্ঞ এই পেসার নিজের শেষ স্পেলে তুলে নেন তিন উইকেট। ফিফটি করা রোস্টন চেইসকে ফিরিয়ে দিয়ে ভাঙেন শতরানের জুটি। পরে ফিরিয়ে দেন ঝকঝকে এক সেঞ্চুরি করা শেই হোপকে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি করা হোপ ফিরেন ১০৯ রানে। চেইস করেন ৫১ রান।
মাশরাফি ৪৯ রানে নেন ৩ উইকেট। আঁটসাঁট বোলিং করেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। খারাপ করেননি মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। একেবারেই ধার ছিল না মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে। সাইফ ২ উইকেট নেন ৪৭ রানে, মুস্তাফিজ ৮৪ রানে নেন দুটি।
এদিকে চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাকিব অলরাউন্ড নৈপুণ্যে উজ্জ্বল। হিসেবী বোলিংয়ে ৩৩ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে করেছেন ফিফটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২৬১/৯ (হোপ ১০৯, আমব্রিস ৩৮, ব্রাভো ১, চেইস ৫১, কার্টার ১১, হোল্ডার ৪, ডাওরিচ ৬, নার্স ১৯, রোচ ১, কটরেল ৪*, গ্যাব্রিয়েল ০; সাইফ ২/৪৭, মাশরাফি ৩/৪৯, মুস্তাফিজ ২/৮৪, সাকিব ১/৩৩, মিরাজ ১/৩৮)
বাংলাদেশ: ৪৫ ওভারে ২৬৪/২ (তামিম ৮০, সৌম্য ৭৩, সাকিব ৬১*, মুশফিক ৩২*; কটরেল ০/৪৭, রোচ ০/৩০, গ্যাব্রিয়েল ১/৫৮, হোল্ডার ০/২৭, নার্স ০/৪৬, চেইস ১/৫১)
ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী