রোগীগণ ছাড়া ও আত্মীয়-স্বজন যাঁরা তাঁদের দেখতে আসেন অনেকেই এই দুর্গন্ধের অভিযোগ করেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের পাশ থেকে শুরু করে সিঁড়ি বেয়ে দুতলায় উঠার সময় নাক হাত দিয়ে চেপে ধরে উপরে উঠতে দেখা যায় অনেককে। সমস্যা একটাই দুর্গন্ধ, উপরের তলায় প্রায় একই অবস্থা এখানে যেন কর্তৃপক্ষের কোনো দৃষ্টিপাত নেই। এমনকি এই এলাকার জনপ্রতিনিধিগণও এদিকে দৃষ্টি না দেয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি বলে মনে করছেন ভুক্তভোগী রোগীগণ।
যার কারণে যেখানে স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার কথা সেখানেই জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। সরজমিনে গত ৭ মে (মঙ্গলবার) দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, রোগীর অবশিষ্ট ভাত তরকারী এবং অভ্যন্তর ঝাড়ু দিয়ে যে ময়লা বের হয় এ গুলো নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে, ফেলে দেয়া হয় উপর থেকে নিচের ড্রেইনের মধ্যে আর এখান থেকেই দুর্গন্ধের সৃষ্টি সমস্ত রোগী থাকার জায়গা সহ আশপাশে। এবং এই দুর্গন্ধ আবার প্রবল বাতাসে ঢুকে যাচ্ছে বিভিন্ন অফিস কক্ষে। বন্ধ রয়েছে ইমার্জেন্সি রুমের জানালা গুলা। এ ময়লা আবর্জনার উপর থেকে ফেলা হয় টিক উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর মো. দুলাল মিয়ার অফিস থেকে একটু পূর্বদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সি বিভাগের রুমের পাশে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আরো জানা যায় এ সমস্যা চলে আসছে বেশ কিছুদিন যাবৎ, মানুষজন অভিযোগ করার জায়গাও টিক খুঁজে পাচ্ছেন না। পৌরসভার শ্রীনাথপুর গ্রাম থেকে আসা মহিলা রোগী মিনারা বেগম(২৪) জানান, পাশের বেডের রোগী ডায়রিয়া জড়িত কারণে ভর্তি হয়ে বমি করেছেন যা পরিষ্কার করা হয়নি তিন ঘন্টা সময় অতিবাহিত হলেও। যার দুর্গন্ধের কারণে তিনি ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারছেন না। তিনি আরো জানান এটি ওয়ার্ড বয়কে জানালেও কোন সুফল পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে ওয়ার্ড বয় বজেন্ড শব্দকর বলেন, এ ময়লাটি তিনি দেখেননি।
উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের ফুলতলী গ্রাম থেকে আসা ভর্তি রোগী আরমান মিয়া(৩২) জানান, বাথরুমে দুর্গন্ধ থাকার কারণে তিনি ঠিক মতো গোসল খানায় যেতে পারছেন না। অন্যান্য রোগীদের অভিযোগ বাথরুম ব্যবহার টিক মত করা যায়না, রোগীদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বাথরুমের দিকে নজর করে দেখা যায় বাথরুম গুলো ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় বলে ধারণা করা যাচ্ছে না।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পানি ব্যবহারের জন্য পানির ট্যাংকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়নি মনে হয় ৫ রছর যাবৎ। যার ফলে পানিতেই যেন দুর্গন্ধ মিশে গেছে। এমন অবহেলার কারণ তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী রোগীদের কাছ থেকে। এ বিষয়ে জানতে কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ইয়াহিয়ারকে অফিস এলাকায় না পেয়ে একাধিকবার মুঠোফনে কল দিলেও উনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে অন্যান্যরা মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।