এমন শুরুতে গোটা ক্রিকেট বিশ্বই টাইগারদের নিয়ে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে। একথা অকপটে বলা যায়, টাইগাররা ত্রিদেশীয় সিরিজে যে ভয়ডরহহীন ক্রিকেট খেলছে এরকম চলতে থাকলে ছিয়ানব্বইয়ের শ্রীলংকা হতে বাধ্য টিম টাইগার। ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সিনিয়র ক্রিকেটাররা পর্যন্ত ভাবতে বাধ্য হন বাংলাদেশের শক্তিমত্তা নিয়ে। ইতোপূর্বে ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড কে বিদায় করে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা বাংলাদেশ ভারতের সাথে সেই বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের শিকার না হলে সেমিফাইনাল খেলত বলে যাদের বিশ্বাস তাদের পক্ষে সাফাই গাইছে সতের এর আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। নিউজিল্যান্ড কে হারানো ম্যাচের স্মৃতি বার বার ফিরে আসে। এমতাবস্থায় সাঙ্গাকারা থেকে শুরু করে শচীন টেন্ডুলকার পর্যন্ত বলছেন বিশ্বকাপের কালোঘোড়া হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ যার আছে সিনিয়র এবং তরুণদের নিয়ে গড়া বিশ্বকাপের অন্যতম ভারসাম্যপূর্ণ দল।
এছাড়াও বিশ্বের বর্তমান অন্যতম সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল যে দলে গোড়াপত্তন করবেন সে দলেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সাথে আছেন কাটার মাষ্টার মুস্তাফিজ। এছাড়া উড়ন্ত ফর্মে আছেন সৌম্য-মোসাদ্দেকরা। রিজার্ভ হিসেবে রাখা আছে ইমরুল কায়েসের মতো ব্যাটসম্যান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে মুশফিকুর রহিম জুঁটি তো মিডল অর্ডারের প্রাণ। আর ষোল কোটি বাঙ্গালির আবেগের সাথে জড়িয়ে আছে ক্যাপ্টেন মাশরাফি।
এমন সমীক্ষণে আজ মাঠে নামছে টিম বাংলাদেশ মূল পর্বের লড়াইয়ে। নিজেদের প্রজন্মকে সোনালি প্রজন্মের চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেয়ে দিতে। কিন্তু ভয় ঐ একটাই প্রত্যাশার চাপ! যে চাপে ভারতীয়রা শচীনকে দিয়ে বিশ্বকাপ আনতে লেগেছিল দীর্ঘ ২২ বৎসর। মাহেলা জয়াবর্ধন-সাঙ্গাকারার শ্রীলঙ্কা রানার্সআপেই সন্তুষ্ট থেকেছে। ভিলিয়ার্স-ক্যালিস-আমলার দক্ষিণ আফ্রিকা বার বার খালি হাতে ফেরত গেছে, সে প্রত্যাশার চাপে ন্যুব্জ হয়ে শক্তিমত্তা থাকা সত্ত্বেও যেন সোনালি প্রজন্মের বাংলাদেশ শিবির খালি হাতে না ফেরে এমনটাই প্রার্থনা গোটা বাংলাদেশের সবকটি শহর, সবকটি জনপদের।শুভকামনা বাংলাদেশ।