শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালাগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ



বালাগঞ্জে আকস্মিক বন্যায় এই মুহূর্তে বিপর্যস্ত এলাকাবাসী। অনেক এলাকার রাস্তা-ঘাট ইতোমধ্যে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই তাদের অপ্রত্যাশিত পানিবন্দি জীবনযাপন শুরু হয়েছে। এই সব এলাকার লোকজন অনেকটা কর্মহীন ও হয়ে পড়েছেন। এমতাবস্থায় বন্যায় আক্রান্ত হয়ে ঘর-বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষদের খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি গতকাল উপজেলার ১নংপূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের বন্যা দুগর্ত প্রায় ১ শ ২৫ পরিবারের মধ্যে সরকারি ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে জিআর চাল ও শুকনা খাবার বিতরণ করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোস্তাকুর রহমান মফুর। এসময় তাঁহার সাথে ছিলেন – উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুস সাকিব, পিআইও প্রীতিভুষন দাস, সমবায় কর্মকর্তা উৎপল চক্রবর্তী, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মতিন, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, শিহাব আহমদ, ঝন্টু দাসসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য, বালাগঞ্জে আকস্মিক বন্যায় ইতোমধ্যে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন-ই কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে প্রায় ৩০ হাজার লোকসহ ১৩শ পরিবার পানিবন্দি বলে জানা গেছে। টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন জায়গার মত বালাগঞ্জেও বন্যার এ প্রকোপ দেখা দিয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।  কুশিয়ারা নদীর তীরঘেঁষা বালাগঞ্জ সদরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখের রাস্তা, বাজারের ভেতরের রাস্তা, বালাগঞ্জ সরকারি ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ, তয়রুন নেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ভেতর, প্রবেশের রাস্তা ও মাঠ, উপজেলা প্রশাসনের মূল সড়ক ও উপজেলা প্রশাসনের মাঠ পানিতে ডুবে গেছে এবং উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের নিচতলার অফিসগুলোর ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে পানিবাহীত নানা রোগ।

কুশিয়ারা ডাইকের ভাঙ্গনে হামছাপুর, জালালপুর, গালিমপুর গ্রামের বন্যা প্রতিরোধক বাধেঁর ভাটপাড়া, পৈলনপুর, ফাজিলপুর, পূর্ব ইছাপুর এ সকল স্থানে ডাইকের বাঁধ ভেঙে পানি ভিতরে প্রবেশ করছে। সেই সঙ্গে বালাগঞ্জের সাথে পূর্ব পৈলনপুরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। একিসাথে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে বালাগঞ্জ রোডের ডাইকের বাজার সংলগ্ন রাস্তা ফাটল দেখা দেয়ায় ঝুকিপূর্ণ ভাবে গাড়ি চলাচল করছে। উপজেলার ৯টি প্রাইমারি ও ৪টি মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ইতোমধ্যে। গালিমপুর হাইস্কুল ও পূর্ব পৈলনপুর হাইস্কুলে বন্যার্ত মানুষজন আশ্রয় নিয়েছেন এবং পূর্ব গৌরীপুর বি কে এম হাই স্কুলে মানুষ আসতে শুরু করেছেন।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!