রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্কুল পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ‘সৌহার্দ্য’ এর শুভ উদ্বোধন

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : মোস্তাকুর রহমান মফুর



বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোঃ মোস্তাকুর রহমান মফুর বলেছেন, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্কুল পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সৌহার্দ্য একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ যা সত্যিই প্রশংসনীয়। এ কর্মসূচি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে বালাগঞ্জের শিক্ষাপ্রতিষ্টান থেকে শুরু করে মেঠো পথের দুপাশে থাকবে সবুজ বৃক্ষরাজি। তবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আজকের এই ক্ষুদ্রবৃক্ষ আগামী দিন অর্থনৈতিক ভাবে ব্যক্তি, সমাজ ও প্রতিষ্টানকে স্বাবলম্বী করে তুলবে। আসুন সবাই নিজ নিজ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা করি। তাছাড়া তিনি পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপণের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুরুত্বারোপের কথাও উল্লেখ করেন।

তিনি বুধবার (২৮ আগস্ট) বালাগঞ্জ সরকারি ডিএনএ উচ্চ বিদ্যালয় ও বোয়ালজুড় উচ্চ বিদ্যালয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত স্কুল পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সৌহার্দ্য এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

পৃথক দুটি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুস সাকিব। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – বালাগঞ্জ সহকারী কমিশনার ( ভূমি) সুমন চন্দ্র দাশ, বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, বোয়ালজুড় উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল কামাল, সাবেক সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেযারম্যান এম এ মতিন, বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেযারম্যান মোঃ আব্দুল মুনিম, বালাগঞ্জ ডিএন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, বোয়ালজুড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার তালুকদার, উপজেলা আওযামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা এম এ মালেকসহ সুধীজন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, স্কুল পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ‘সৌহার্দ্য’ এর শুরু নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুস সাকিব তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। যেখানে তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছি মৌসুম চলে যাচ্ছে, বৃক্ষরোপণ করা দরকার। উপজেলা পরিষদে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। কিভাবে কী করা যায়! নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করলাম। ভাবলাম প্রতিবছর স্কুলে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয় এবং পুরাতনরা বিদায় নেয়। বিদায়ী শিক্ষার্থীরা স্কুলের জন্য কিছু শুভেচ্ছা স্মারক রেখে যেতে চায়। এতে তাদের কিছু অর্থ ব্যয়ে ও সম্মতি থাকে।

এমন একটা কিছু কী করা যায় যেটা প্রতিটি গাছের পেছনে একজন দায়িত্ববান মানুষকে সম্পৃক্ত করবে! এসি ল্যান্ড সুমনের সাথে বসলাম। অর্থ ছাড়াই কর্মসূচিটি ডিজাইন করলাম। বিদ্যালয়ের সিনিয়র যে বিদায় নিচ্ছে সে একটি গাছ উপহার দেবে সবচেয়ে জুনিয়র যে সদ্য ভর্তি হয়েছে তাকে। শিক্ষকদের সাথে কথা বললাম। উনারা রাজি। বাচ্চাদের সাথে কথা বললাম। তাদের উচ্ছাস বাঁধ ভাঙা। আমার টাকার দরকার হলো না।

আজ ২টি বিদ্যালয়ে উদ্বোধন হলো আমার সৌহার্দ্য কর্মসূচিটি। আগামী ১মাসে ২১টি মাধ্যমিক ও ৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০,০০০ গাছের চারা বিনিময় হবে। ১৫টি বিদ্যালয়ে ফুলের বাগান সৃজন করা হবে। আমি বলেছি আন্তরিকতা দরকার। কোন স্কুল না পারলে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ হতে সহায়তা করা হবে। একদিন বালাগঞ্জের মেঠো পথের দুপাশে থাকবে সবুজ বৃক্ষরাজি, এতে আল্পনা আঁকবে লাল কৃষ্ণচূড়া, যেখানে প্রতিটি গাছ একজন শিক্ষার্থীর শৈশবকে লালন করবে এমনটাই প্রত্যাশা।

 

 

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!