হোটেল কক্ষে ঢুকতে না ঢুকতেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশে দাঁড়িয়ে সেই ভালোবাসা ও আন্তরিকতা প্রত্যক্ষ করলেন প্রিয়াঙ্কার মা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেসের নেতা আনন্দ শর্মা, তা ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে গতকাল রবিবার প্রচারিত হয়েছে বারবার। শেখ হাসিনাকে দেখা গেছে কয়েকবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পিঠ চাপড়ে দিতে। রোববার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে এই সাক্ষাৎকারের পর প্রিয়াঙ্কা সেই ছবি দিয়ে টুইট করেছেন।
প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনাজির সঙ্গে অনেক বিলম্বিত আলিঙ্গন। অনেক দিন ধরে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষা করেছি। অনেক বড় ব্যক্তিগত ক্ষতি ও কষ্ট কাটিয়ে ওঠার শক্তি এবং তিনি যা বিশ্বাস করেন তা অর্জন করার ক্ষেত্রে তাঁর সাহস ও অধ্যবসায় আমার জন্য বিশাল অনুপ্রেরণা হয়ে আছে; সব সময় তা থাকবে।’
৪৭ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রায় ২০ বছর বয়সে তাঁর বাবা ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হারান। দাদি ইন্দিরা গান্ধীকে হারিয়েছেন ১২ বছর বয়সে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ বছর বয়সে ছোট বোন ছাড়া পুরো পরিবারকে হারান। ঘাতকের হামলার শিকার হয়েছে দুই রাজনৈতিক পরিবারই। এরপর আবার তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর মধ্যেও সাদৃশ্য আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গতকাল রবিবার দুপুরে নয়াদিল্লির তাজমহল হোটেলে সাক্ষাৎকরতে এসেছিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা ড. মনমোহন সিং, আনন্দ শর্মা ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।