জনবল সংকটে বালাগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস। একজন দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে অফিসিয়াল যাবতীয় কার্যক্রম। যে একজন কর্মরত আছেন তাকে আবার অন্য উপজেলায়ও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
ঋণ আদায়, অফিসের রিপোর্ট তৈরী এবং ব্যাংকের কাজসহ যাবতীয় কাজ এক হাতে সামাল দিচ্ছেন ক্রেডিট সুপারভাইজার মো. আব্দুর রহিম। তিনি ওসমানীনগর উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করে যাচ্ছেন।
অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসে ৭টি মঞ্জুরীকৃত পদের মধ্যে ৬টি পদই শূণ্য রয়েছে। কর্মকর্তার পদে বিশ্বনাথ উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম সরকার বালাগঞ্জ ও ওসমানীর উপজেলায়ও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ক্রেডিট সুপারভাইজার ২টি, অফিস সহকারী ১টি, ক্যাশিয়ার ১টি ও অফিস সহায়ক ১টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শুন্য রয়েছে।
চলতি অর্থ বছরে ৩০জনকে সাড়ে ১৭লক্ষ টাকা যুব ঋণ প্রদান করা হয়েছে। ঋণ আদায়ের হার শতকরা ৮৮ভাগ এবং চলতি আদায়ের হার শতকরা ৮৪ ভাগ। হাঁস-মুরগী, গবাদি পশু পালন, সেলাই, বেতের কাজ ও নার্সারী বিষয়ে এই অর্থ বছরে ৪৭০জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। উপজেলার কয়েকজন যুব সংগঠক বলেন, উপজেলায় তালিকা ভুক্ত ৩৫টি যুব সংগঠন রয়েছে এর মধ্যে ১০টি সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অন্যগুলোর কোনো কার্যক্রম নেই বললেই চলে। ২০০৪ সালে একজন যুব সংগঠক বিভাগীয় পর্যায়ে যুব পদক লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে আর কোনো যুবক বা যুব মহিলা জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে কোনো পুরস্কার অর্জন করতে পারেননি। জনবল সংকটে অফিসিয়াল কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। তারা জোর দাবি জানিয়ে বলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসে জনবল নিয়োগ, প্রশিক্ষণ জোরদারকরণ কর্মসুচী পুন:রায় চালু, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসুচী চালু ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ চালু করতে হবে।
এবিষয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহবুব আলম সরকার বলেন, লোকবল সংকটের কারণে অফিস সহ সার্বিকভাবে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। জনবল সংকটের বিষয়টি আমি উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবগত করেছি।