লণ্ডনের অপরাধ, বাসস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বাস্তব ও তড়িৎ সমাধানের অঙ্গীকার নিয়ে আগামী মেয়র নির্বাচনে তাঁর বাস্তবমুখী নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেছেন লণ্ডনের স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক মন্ত্রী ও এমপি অধ্যাপক ররি স্টুয়ার্ড।
গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিপুল সংখক বাংলাভাষী সাংবাদিক ছাড়াও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তিনি তাঁর এ বাস্তবমুখী নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেন।
অক্সফোর্ড ডিগ্রিধারী, হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন সাবেক অধ্যাপক, টোরি পার্টির সাবেক দলনেতা স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী ররি লণ্ডনে রেকর্ড পরিমান তরুণদের ছুরিকাহত হওয়া, রাস্তঘাটে পুলিশের অনুপস্থিতি এবং এর সমাধানে পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি, যথাসময়ে রাস্তাঘাটে পোশাকধারী পুলিশের উপস্থিতি, মাঠ পুলিশের সহযোগিতার জন্য বিশেষ টিম, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতার মাধ্যমে জেলফেরত অপরাধীদের সংশোধনসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন এবং না পারলে দুই বছরের মধ্যে পদত্যাগ করবেন বলে জানান। তিনি জোর দিয়ে বলেন তাঁর এ পরিকল্পনামত লণ্ডনের অপরাধ দুই বছরের মধ্যেই অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
বাসস্থানের সমস্যা সমাধানে প্রাইভেট হাউজিং কোম্পানির পরিবর্তে কাউন্সিলের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ভূগর্ভস্ত ট্রেনের সিগনালিংসহ বিভিন্ন ইস্যুতেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। তাঁর মতে লণ্ডন মেয়র তাঁর জন্য বরাদ্দকৃত ১৭ বিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে অনেক কিছু করতে পারতেন যদি বাস্তবভিত্তিক ব্যবস্থা নিতেন, সে ক্ষেত্রে লণ্ডন মেয়র ব্যর্থ হযেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাকালীন সময় ১৪ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রজেক্টে কাজ করা, আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতার কারণে তিনি মনে করেন – নিউইয়র্ক, গ্লাসগো, ইয়র্কসহ অন্যান্য সিটির মতো লণ্ডনের সমস্যা সমাধানে তিনি বাস্তবধর্মী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তাঁর জন্য ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী বর্তমানে কাজ করছেন এবং তা মার্চে ৩০ হাজারে উন্নীত হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তিনি লণ্ডনের সব জনগণের মধ্যে তার বার্তা পৌঁছে দিতে পারবেন।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীতা তাঁর জন্য প্রতিবন্ধকতা নয় বরং সরকারি দলের সাথে দরকষাকষি ও অন্যান্য দলের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে তিনি কাজ করতে পারবেন।