টেস্ট ও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০৫ সালে ওয়ানডেতে প্রথম জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। এরপর ২০১৭ সালে টেস্টে আসে প্রথম জয়। আজ ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে জয়ের স্বাদ পাওয়ায় এখন তিন ফরম্যাটেই অস্ট্রেলিয়াকে হারের স্বাদ দিতে সক্ষম হল বাংলাদেশ।
অবশ্য সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণের ক্রিকেটে এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র চারটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ এবং চারটিতেই হারে। প্রথম ম্যাচ খেলে ২০০৭ সালে কেপটাউনে, ২০১০ সালে বাবাডোজের ব্রিজটাউনে দ্বিতীয় ম্যাচ, ২০১৪ সালে ঢাকার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচ ও ২০১৬ সালে ব্যাঙ্গালোরে চতুর্থ ম্যাচ। আর এ চারটি ম্যাচই ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। এবারই প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অজিদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছে টাইগাররা। এবং সিরিজটি জয় দিয়েই শুরু।
তবে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৩ রানের জয় পেয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে গেলেও ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের তেমন ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারেননি। শুধু সাকিব আল হাসান ও আসিফের ব্যাটে ভর করে দলীয় শত রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৩১ রান। বাংলাদেশের এই ১৩১ রানের জবাবে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার অনেকটা অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপে ও শুরু থেকে ধ্বস নামে। যার ফলে সফরকারীরা অলআউট হয় ১০৮ রানে।
প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদশের ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই নাইম শেখ ছক্কা হাঁকালেও শুরুটা ভালো হয়নি মাহমুদুল্লাহদের। ৯ বলে ২ রান করে ফিরেন সৌম্য সরকার এরপর নাঈমও ফেরেন ২৯ বলে ৩০ রান করে। এই দুইজনকে হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব। কিন্তু তাড়াহুড়া করে খেলতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ ব্যক্তিগত ২০ রানে হ্যাজেল উডের বলে সাজঘরে ফিরেন। এরপর সাকিব ৩৬, নুরুল হাসান ৩ ও শামীম হাসান ৪রান করে আউট হন। সাকিবের ব্যাট থেকেই আসে দলের সর্বোচ্চ রান।
বোলিংয়ে ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। কার্যকর বোলিং উপহার দেন অন্য দুই স্পিনার মেহেদি হাসান ও সাকিব আল হাসানও। শেষ দিকে দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ১০৮ রানে। এদিন বোলিংয়ে বাংলাদেশকে স্বপ্নের মতো শুরু এনে দেন স্পিনাররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩১/৭ (নাঈম ৩০, সৌম্য ২, সাকিব ৩৬, মাহমুদউল্লাহ ২০, সোহান ৩, আফিফ ২৩, শামীম ৪, মেহেদি ৭*; স্টার্ক ৪-০-৩৩-১, হেইজেলউড ৪-০-২৪-৩, জ্যাম্পা ৪-০-২৮-১, টাই ৪-০-২২-১, অ্যাগার ৪-০-২২-০)।
অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ১০৮ (কেয়ারি ০, ফিলিপি ৯, মার্শ ৪৫, হেনরিকেস ১, ওয়েড ১৩, অ্যাগার ৭, টার্নার ৮, স্টার্ক ১৪, টাই ০, জ্যাম্পা ০, হেইজেলউড ২*; মেহেদি ৪-০-২২-১, নাসুম ৪-০-১৯-৪, সাকিব ৪-০-২৪-১, মুস্তাফিজ ৪-০-১৬-২, শরিফুল ৩-০-১৯-২, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৬-০)।
ফল: বাংলাদেশ ২৩ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ১-০তে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: নাসুম আহমেদ