অধিনায়ক রুটের দৃঢ় এক ইনিংসেই লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ে একটু যেন এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড। রুটের অপরাজিত ১৮০ রানের ইনিংসে ভর করে অলআউট হওয়ার আগে ১২৮ ওভারে ৩৯১ রান করেছে স্বাগতিকেরা। ইংল্যান্ড অলআউট হওয়ার পর এদিন আর খেলা হয়নি। ভারতের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ২৭ রান এগিয়ে আছে রুটের দল।
আগের দিনের ৪৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন রুট। টপ অর্ডারের কেউ ছন্দে নেই। মিডল অর্ডারে নেই বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সম্পূর্ণ ভার এখন রুটের ওপর। আর বাড়তি দায়িত্বটা যেন উপভোগই করছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ট্রেন্ট ব্রিজে ড্র হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৯ রান করেন রুট। লর্ডসেও সেই রুটের ব্যাটেই রক্ষা স্বাগতিকদের। কাল ক্যারিয়ারের ২২তম টেস্ট সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে বিপদমুক্ত করেন তিনি।
টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংস খেলতে নেমে দ্রুতই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। ঠিক সেখান থেকেই দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন রুট। ররি বার্নস ও জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দুটি জুটি গড়ে ধস সামাল দিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৯ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
৩ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে শনিবার তৃতীয় দিন শুরু করা ইংল্যান্ড যে ৩৯১ রান তুলতে পেরেছে তা একপ্রান্ত আগলে থেকে রুট অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন বলেই। লর্ডসের তৃতীয় দিনকে এমনিতে সাধারণত ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ বলা হয়। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভারেই সিরাজের বলে পয়েন্ট বাউন্ডারিতে মারা রুটের চার সেই আভাসই দিচ্ছিল। রান পেয়েছেন বেয়ারস্টোও। রুট ফিফটি করে এগিয়ে যান সেঞ্চুরির পথে, টেস্ট দলে ফেরার পর প্রথম ফিফটি পূর্ণ করে বড় রানের হুমকি দিচ্ছিলেন বেয়ারস্টোও।
তবে মধ্যাহ্নবিরতির পর বেয়ারস্টো ৫৭ রান করে আউট হলে ভাঙে রুট-বেয়ারস্টোর ১২১ রানের জুটি। উইকেট পতনেও অবশ্য রানের গতি কমেনি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাটলারকে নিয়ে ৫৪ রান যোগ করেছেন রুট। ২৩ রান করে বাটলার আউট হলেও মঈন আলীকে নিয়ে আরও ৫৮ রান যোগ করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। শেষ উইকেট জুটিতে অ্যান্ডারসনকে নিয়ে ২০ রান যোগ করেছেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৩৬৪
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১২৮ ওভারে ৩৯১ (রুট ১৮০*, বেয়ারস্টো ৫৭, বেয়ারস্টো ২৩, বাটলার ২৭, কারান ০, রবিনসন ৬, উড ৫, অ্যান্ডারসন ০; ইশান্ত ২৪-৪-৬৯-৩, বুমরাহ ২৬-৬-৭৯-০, শামি ২৬-৩-৯৫-২, সিরাজ ৩০-৭-৯৪-৪, জাদেজা ২২-১-৪৩-০)।