বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মহিউদ্দিন শীরুর ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বালাগঞ্জের মাদ্রাসা বাজারস্থ শাহ্ মিডিয়া এণ্ড ষ্টেশনারী প্রতিষ্ঠানে এক দুয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাদ মাগরিব দৈনিক সবুজ সিলেট ও বালাগঞ্জ প্রতিদিন পত্রিকার বালাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি এসএম হেলালের উদ্যোগে আয়োজিত এ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন – সমাজসেবী আছলাম খান, আলিওর খান, আব্দুস শহীদ খান, হাফিজ গুফরান আহমদ, হাফিজ শায়েক আহমদ, শেখ সাদেক ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শেখ সাদেক আহমেদ, রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, মাদ্রাসা বাজার অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুহেব আহমদ ও সাংবাদিক এসএম হেলাল। মাহফিলে প্রয়াত সাংবাদিক মহিউদ্দিন শীরুর আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন দেওয়ান বাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মাওলানা আজমান আলী।
উল্লেখ্য, বালাগঞ্জের কৃতি সন্তান মহিউদ্দিন শীরু ১৯৫৫ সালের ২৫ জুলাই বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের জামাল পুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আজির উদ্দিন আহমদ এবং মায়ের নাম কমরুন্নেছা খাতুন। তিনি ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিলেটের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
প্রথমে সাপ্তাহিক যুগভেরীর মাধ্যমে তাঁর সাংবাদিকতার শুরু হলেও তিনি বিভিন্ন সময়ে – সিলেট বাণী, মানচিত্র, সাপ্তাহিক অগ্নিবীণা, সাপ্তাহিক পত্রিকা দৈনিক বাংলার বাণী, সাপ্তাহিক জালালাবাদ, সিলেট সংবাদ, দৈনিক গনজাগরণ, প্রতৃতি কাগজে এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর সিলেট প্রতিনিধি ও দি নিউজ টুডে এর সিলেট বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া তিনি ১৯৮৭ সালে সাপ্তাহিক গ্রামসুরমা ও ১৯৯২ সাল থেকে দৈনিক সুদিন পত্রিকার সম্পাদনা করেন। তিনি অবিভক্ত সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বালাগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন।
২০০৮ সালে তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রেস কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০০৩ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচনে ও ২০০৮ সালে দ্বিতীয় মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কবি এবং বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকারও ছিলেন। এছাড়াও তিনি কয়েকটি গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। তিনি ২০০৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ৫৪ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী হাসিনা বেগন চৌধুরী, পুত্র ওয়াজিহ আহমদ ও মেয়ে মাসরুবা মালিহাসহ আত্মীয় স্বজন ও অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।