শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালাগঞ্জের সিরাজপুর গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষ: নিহত ১



বালাগঞ্জের দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের সিরাজপুর গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আবুল আল মাহমুদ (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৩ মার্চ) বেলা ২টার দিকে উপজেলার দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের সিরাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় একটি রাস্তায় গার্ডওয়াল নির্মাণকে কেন্দ্র করে লুৎফুর রহমান খসরু ও আমির আলী পক্ষের লোকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এসময় উভয় পক্ষের ৮ থেকে ১০ জন লোক আহত হন। আহতরা হচ্ছেন- লুৎফুর রহমান খসরু, সাজন মিয়া, সেবুল মিয়া। অপরপক্ষের – আলফু মিয়া, গেদু মিয়া, নাইম আহমদ, মাসুদ আহমদ।ঘটনার খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শনকালে  লুৎফুর রহমান খসরু জানান , আবুল আল মাহমুদ আমার চাচাতো ভাই। উনাকে আমির আলী, গেদু, আলফুরা পরিকল্পিত ভাবে ইটদিয়ে আঘাত করে খুন করেছে।

আমির আলী পক্ষের খানম বেগম জানান, রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করার খবর পেয়ে আমাদের বাড়ির লোকজন দেখতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় উত্তেজিত হলে স্থানীয় লোকজন আবুল আল মাহমুকে সরিয়ে নিয়ে যান। পরে খবর পাওয়া গেছে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।

এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, সিরাজপুর গ্রামের লুৎফুর রহমান খসরু পক্ষ ও আমির আলি পক্ষের মধ্যে একটি রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। আমির আলীর দাবি এটি তার বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা। আর লুৎফুর রহমান খসরুর দাবি এ রাস্তা শুধু তাদের পারিবারিক কবরস্থানে যাওয়ার রাস্তা।

এ দাবিতে লুৎফুর রহমান খসরুরা সম্প্রতি রাস্তাটির সাইটে দেয়াল ও সংস্কারের উদ্যোগ নেন। এতে বাঁধা প্রদান করেন আমির আলীরা। তার অভিযোগ, লুৎফুর রহমান খসরু সংস্কার কাজের নামে রাস্তাটি কেটে ছোট করে দিচ্ছেন।

ঘটনার দিন বুধবার সকাল থেকে দুপক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং একপর্যায়ে বেলা ২টার দিকে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষের সময় লুৎফুর রহমান খসরুর পক্ষের আবুল আল মাহমুদ তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসকরা মৃত ঘোষণা করেন।সংঘর্ষের খবর পেয়ে বালাগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় সিরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা আমির আলী এবং আরও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রমাপ্রসাদ চক্রবর্ত্তী বলেন, রাস্তা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আবুল আল মাহমুদের মৃত্যু নিয়ে প্রথমে এলাকায় রহস্য সৃষ্টি হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর ভাই ও পুত্র লাশের ময়নাতদন্ত বা সুরতহাল প্রতিবেদনে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে রাত পৌনে ১২টার দিকে গহরপুর মাদ্রাসা মাঠে মরহুমের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় এলাকার সর্বস্তরের লোকজন শরিক হন।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!