শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

লেস স্যাভিনোর দীর্ঘ জীবনের রহস্য



দীর্ঘ জীবনের রহস্য জানালেন শতবর্ষী লেস স্যাভিনো। গত আগস্ট মাসে তার ১০০ বছর হয়েছে। তিনি জানান, গত ৪০ বছর ধরে তিনি ব্যায়ামের একই রুটিন অনুসরণ করে চলেছেন। স্যাভিনোর দাবি, সপ্তাহে পাঁচ দিন করে তার নিয়মিত অনুশীলনই তার এই দীর্ঘ জীবনের পেছনে রয়েছে।

টাইমসনাউনিউজ জানিয়েছে, প্রতিদিন সকালে তিন ঘণ্টা করে অনুশীলন করেন স্যাভিনো। ঘুম থেকে উঠেই তিনি জিমে চলে যান। সেখানে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অনুশীলন করেন। ১৯৮৩ সাল থেকেই তার এই জিম করা চলছে। এছাড়া তিনি যে খাবার খান, তা নিয়েও নানা নিয়ম মেনে চলেন স্যাভিনো। এছাড়া ওষুধের ওপর নির্ভর করতেও পছন্দ করেন না তিনি। প্রচুর পরিমাণ সামুদ্রিক খাবার ও শাকসবজি খান তিনি।

স্যাভিনো বলেন, আমার ১০০ বছর বয়স হয়েছে। এখনও আমার সবকিছু করার দরকার নেই। তাও আমি করে চলেছি। যদি কেউ জীবন উপভোগ করতে চায় তাহলে তার জন্য এটা জরুরি। ১০০ বছর বয়সে কেউই তার জীবন উপভোগ করে না। কিন্তু আমার দিনগুলো একদম আমার ত্রিশ বছর বয়সের মতোই চলছে। অনুশীলন ওষুধের থেকে অনেক ভাল। অনেকেই আছেন শুধু ওষুধ খেয়ে বেঁচে আছেন। কিন্তু আমি তাদের মতো নই। আমি শুধু উচ্চ রক্তচাপের জন্য ওষুধ খাই।

সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত জিমে ব্যায়াম করেন। পাঁচ দিনের মধ্যে তিনি তিন দিন ভারোত্তোলনের পেছনে ব্যয় করেন। বাকি দুই দিন তিনি কার্ডিওতে মনোনিবেশ করেন। তিনি বলেন, আমি কোনো বিশেষ খাবার খাই তা না। আমি অন্য সবার মত মেনু থেকে সবকিছু অর্ডার করি। কিন্তু কিছু কারণে, আমার স্টেক এবং মাংসের প্রতি খুব বেশি আগ্রহ নেই।

দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনের গোপন রহস্য অনেক। কিন্তু বেশীরভাগ মানুষ যারা দীর্ঘজীবী হয়েছে আপনাকে বলবে যে, দীর্ঘায়ু হতে হলে ভাল খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকার বিকল্প নেই। কিন্তু সম্প্রতি বৃটিশ নাগরিক জন টিনিউস তার দীর্ঘ জীবনের রহস্য সম্পর্কে যা বলেছেন তা অনেককেই অবাক করেছে। এখন তার বয়স ১০৯ বছর। তিনি বলেছেন, তিনি এতদিন ধরে বেঁচে আছেন কারণ তিনি সবকিছুকে সহজভাবে নিতেন। তিনি বিশ্বাস করেন, কারও নিজের জীবনকে পছন্দের খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখা উচিৎ নয়। জন গত বছর বলেছিলেন, নিজের পছন্দের মতো কাজ করতে না পারলে আপনি শারীরিক বা মানসিকভাবে নিজেকে আহত করবেন। এতে আয়ু কমে যায়। তার এই কথা তখন ভাইরাল হয়েছিল। ১০৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তি প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যায় তার চিপি চা পান করেন। স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো চাপ নেয়া তার পছন্দ না। তার কথা হচ্ছে, নিজের মতো করে বাঁচো। তবে কোনো কিছু নিয়ে বারবারি করতেও নিষেধ করেছেন তিনি।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!