সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বাদ আসর কলুমা গ্রামে আনহার আলীর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এছাড়া বাদ আসর রহমতপুর গ্রামে ১ম এবং বাদ মাগরিব রিফাতপুর গ্রামে ২য় জানাজা শেষে মো. রেজাউল করিমের দাফন সম্পন্ন হয়। বাদ মাগরিব হযরত শাহ সুলতান (রহ.) মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে অটোরিক্সা চালক বাবুল মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বাবুল মিয়ার জানাজায় বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মফুর, ভাইস চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন সামস, হযরত শাহ সুলতান (রহ.) মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা রেদওয়ানুল হক চৌধুরী, শিক্ষাসচিব মাওলানা নুমানুল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা লোকন মিয়া, মইনুল ইসলাম সালেহ, বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান জিলু, অর্থ সম্পাদক এসএম হেলাল, গহরপুর অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক আমির আলীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত শোকাহত এলাকাবাসী শরিক হন।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় বালাগঞ্জের অটোরিক্সা চালকসহ ৩জনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতের স্বজনদের আহাজারি থামছে না।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের স্থানীয় বটেরতল সংলগ্ন উত্তরে একটি ট্রাক এবং অটোরিক্সা (সিএনজি)’র মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে কলুমা গ্রামের আনহার আলী নিহত হন। হাসপাতালে নেয়া হলে অটোরিক্সা চালক বাবুল মিয়া এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মো. রেজাউল করিমকে মৃত ঘোষণা করা হয়।