বালাগঞ্জে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রোববার (২৬ মার্চ) উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বালাগঞ্জ সরকারি ডি.এন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শান্তির প্রতীক কবুতর উড়ানোসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয় ।
এ দিকে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে উপজেলার শিওরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ মার্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বুলবুল আহমদ। সভায় বক্তৃতা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ইউপি মেম্বার রোকেয়া খাতুন, বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী সদস্য সাংবাদিক শাহ মো. হেলাল, অভিভাবক সদস্য জুবায়ের আহমদ খান রাজু।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জালাল আহমদের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন – বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য ফাতেমা জাহান ইমা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি সুলতানা আহমদ খান, সহকারী সিনিয়র শিক্ষক ছাবিয়া বেগম, বেবী রাণী পাল, আমিনা বেগম ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ২৬ মার্চ, আমাদের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয় পেলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে একাত্তরের ২৫ মার্চ কালোরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যা অভিযান ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করে। দিনের প্রথম প্রহরেই পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়ারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। এরপর দীর্ঘ ৯ মাসের মরণপণ লড়াইয়ে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। আর ঐ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রধান সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আমাদের বৃহত্তর বালাগঞ্জের কৃতিপুরুষ বঙ্গবীর জেনারেল এমএ জি ওসমানী। তাই অসীম ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা রক্ষায় সবাইকে লেখাপড়ার পাশাপাশি সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।সভায় মোনাজাত পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জালাল আহমদ। এছাড়াও রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।