মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সি.ইন.সি, বাঙালি জাতীয়তাবাদের অন্যতম প্রবক্তা, জাতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক মন্ত্রী জেনারেল মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার (১৬ ফেব্রয়ারি) বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদ সিলেটের পক্ষ থেকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হযরত শাহপরান (রহ.) আল কোরআন সেন্টারে খতমে কুরআন ও দুয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং বাদ আসর হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার প্রাঙ্গনে মিলাদ মাহফিল শেষে বঙ্গবীরের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ দুয়া করা হয়।
মিলাদ মাহফিল ও শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন – বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদ সিলেটের সভাপতি সৈয়ীদ আহমদ বহলুল, সহসভাপতি এডভোকেট আব্দুল মালিক, আমিরুল হোসেন চৌধুরী আমনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক চৌধুরী দেলোয়ার হোসেন জিলন, মো. খলিলুর রহমান চৌধুরী, মো. রায়হান, কোবাদ বখত চৌধুরী, রুবেল আহমেদ, আবুল কাশেম হেলাল, শিল্পী তুহিন আহমদ, সমাজকর্মী হুশিয়ার আলম, বিশিষ্ট সাংবাদিক ইয়াহহিয়া চৌধুরী, মাওলানা ক্বারী হাফিজ আবু ইউসুফ চৌধুরী, হাফিজ মো. আব্দুস সালাম, হোসাইন আহমদ সিরাজ, আব্দুস সোবহান, জমির উদ্দিন, দেলওয়ার হোসেন, বিল্লাল আহমেদ, হাবিব উল্লাহ, আবুল লেইছ, মো. জাহেদ আহমদ, নুরুল ইসলাম, গৌছ মিয়া, আইয়ুব আলী, জামাল উদ্দিন, আব্দুল খালেক, মো. নায়েক আহমদ, মুজিবুর রহমান, হোসাইন আহমদ, সাব্বির আহমদ শুভ, ফারুক আহমেদ, মাছুম আহমেদ, শাহ মৃদুল মিলাদ, রাহী আহমেদ, কিবরিয়া মিয়া, সাইফ উদ্দিন, মনির উদ্দিন প্রমুখ।
কুরআন খতম শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফিজ আমির আলী (রহ.) হাফিজিয়া ইয়াতিম খানা মাদ্রাসার প্রধান হাফিজ মো. নজির হোসেন। এ সময় হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহে বঙ্গবীর ওসমানী, ৫২, ৭১, ৭৫ এর শহীদানদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মিলাদ মাহফিল শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফিজ ক্বারী মাওলানা আবু ইউসুফ চৌধুরী এবং শ্রদ্ধা নিবেদন ও জিয়ারত শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন সংসদের সভাপতি সৈয়ীদ আহমদ বহলুল।
উল্লেখ্য, মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী যিনি জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী নামে পরিচিত। জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯১৮। তাঁর বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার (বর্তমান তাঁর নাম অনুসারে ওসমানী নগর উপজেলা) দয়ামীর জালালপাড়া গ্রামে। তাঁর পিতার নাম খান বাহাদুর মফিজুর রহমান। এম. এ. জি ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং দেশকে স্বাধীনতা এনে দেয়ার রণাঙ্গনের অন্যতম মহারথী। ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন সৎ ও নীতিবান অনন্য মহাপুরুষ। তিনি ১৯৪২ সালে তৎকালীন বৃটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ মেজর ছিলেন।এবং তিনটি দেশের সেনাবাহিনীর অফিসার হিসেবেও তিনি ছিলেন অতুলনীয়। ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি লণ্ডনে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যুর নিকট আত্মসমর্পন করেন। পরে তাঁকে হযরত শাহ জালাল (রহ.) দরগাহ সংলগ্ন কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।