একটি উদ্দেশ্যে হচ্ছে:
لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ (আয়াত: ১৮৩)
তার মানে তাক্বওয়া সম্পাদন বা তাক্বওয়া অর্জন করা।
এবং অপর উদ্দেশ্যে হচ্ছে:
وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ (আয়াত: ১৮৫)
তার মানে হচ্ছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা অথবা শুকরিয়া সম্পাদন বা বরণ করা।
তাছাড়া, হাদীসে রামাদ্বান মাসকে شَهْرُ الصَّبْر বা ধৈর্যের মাস হিসেবে সুপরিচিত করা হয়েছে।
অপরদিকে, হাদীসে الصَّومُ جُنَّةٌ এবং الصِّيَامُ جُنَّةٌ বলে সাওম ও সিয়ামকে ‘ঢাল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তাহলে,উপরের বিবরণের সারমর্মে এ রকম বলা যেতে পারে যে:
রামাদ্বান ও সিয়ামের আগমন এ জন্য যে, মু’মিন তথা মুসলিম যেন নিচের তিনটি রূপে গড়ে উঠতে পারে :
১-মুত্তাক্বী রূপে গড়ে উঠে। (অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ ও নিষেধ পালনকারী হয়ে যায়)
২-শাকির হয়ে উঠে। (অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা সম্পাদন ও স্বীকারকারী যেন হয়ে যায়)
৩-সাবির হয়। (মুসলিম ধৈর্য ধারনকারী যেন হয়)
আর এই তিনটি গুণ বা চরিত্র অথবা বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে হবে-
সিয়াম বা রোযার ‘ঢাল’ ধরে আর কুরআনকে (বাক্বারা,১৮৫) গাইড মেনে।
খোলাসা কথা হলো, রোযার পূণ্যময় পরিবেশে, কুরআনের কল্যাণময় আবহে একজন মুসলিম যেন অন্তত—যোগ্য মুত্তাকী,শাকির, সাবির এবং অন্যের কল্যাণকামী রূপে গড়ে উঠে।তখনই এগারো মাস পর পর মহান রামাদ্বান মাসের শুভাগমনে মুসলিমও হয়ে উঠবে মহান।
লেখক: মুফতি