পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে বুধবার ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। এরইমধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফলাফল আসতে শুরু করেছে।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া বেসরকারি ফলাফলে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ- পিটিআই।
তবে ইমরান খানের দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারলে তাঁকে জোট গঠনের পথে হাঁটতে হবে।
এদিকে, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা বড় ধরণের ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন।
ভোটের ফলাফল খুব ধীরে ধীরে প্রকাশ করায় তারা এমন অভিযোগ তোলেন।
তবে নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোট কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন যে, প্রযুক্তিগত সমস্যা সেইসঙ্গে এতো ভোট হাতে গণনার কারণে কারণে তাদের দেরি হচ্ছে।
পাকিস্তানের এই নির্বাচনকে ঘিরে অনেক রক্তপাত দেখতে হয়েছে দেশটির সাধারণ মানুষকে।
এমনকি ভোটের দিনও একটি ভোটকেন্দ্রে বিস্ফোরণে বহু মানুষ হতাহত হন।
নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৪২ শতাংশ কেন্দ্র থেকে ফল প্রকাশ হয়েছে।
দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মোট ২৭২টি আসনের মধ্যে ১১৩টি আসনের আংশিক ফলাফলে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ইমরানের পিটিআই।
পাকিস্তানের এই ঐতিহাসিক নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো বেসামরিক দলের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর হতে যাচ্ছে।
- তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল- পিএমএলএন সেইসঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ছোট দলগুলো ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যানের দিকে ঝুঁকছে।
দলীয় নেতা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাই শাহবাজ শরীফ তার টুইট বার্তায় অভিযোগ করেন, ” যেভাবে জনগণের সিদ্ধান্তকে অসম্মানিত করা হয়েছে, তা মেনে নেয়া যায়না।”
ভোট গণনায় মতো যদি সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও দেরী হয় তাহলে সেটি পাকিস্তানের জনগণের বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
কেননা পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাস সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে তারা আগে থেকেই বেশ উদ্বিগ্ন।
বিবিসি, পিটিআই