প্রতিবেশী দেশ ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনায় দায়ের মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। দেশটির মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের একটি আদালত ২৬ অক্টোবর (শুক্রবার) এই রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে, এ রায়ের খবর পেয়ে দেশ বিদেশে আনন্দে মেতে উঠেছেন তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। ওই দিন শুক্রবার বাদ সন্ধ্যা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর শহরে একটি রেস্টুরেন্টে মালয়েশিয়াস্থ কক্সবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি ইমন সাঈদ এর নেতৃত্বে মিষ্টি বিতরণ করেন নেতাকর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক মৌলানা মোহাম্মদ নুরুল আমিন আল মাদানী , মৌলানা ইসহাক , মো: কুতুব উদ্দীন , সালাহউদ্দীন কাজল , তোফাইদুল , এমরাজ-সহ মালয়েশিয়াস্থ কক্সবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের নেতৃবৃন্দ ।
চলতি বছরের ১৩ আগস্ট এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। এরপর তা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন আদালত। এরপর কয়েক দফায় রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয়।
তবে এই মামলায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিচারক তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন । জামিনের প্রধান শর্ত ছিল – শিলংয়ের বাহিরে যাওয়া যাবে না । আর সে কারণেই সালাহউদ্দিন আহমেদ আপাতত সেখানেই একটি গেস্ট হাউস ভাড়া করে আছেন। অসুস্থতার জন্য তার চিকিৎসাও চলছে ঐ শহরে । মাঝে মধ্যে পরিবারের সদস্যরা ও দলীয় নেতা কর্মীরা গিয়ে তাঁর সাথে দেখা সাক্ষাত করেন ।
সালাহউদ্দিন আদালতে বলেছিলেন, ২০১৫ সালে মার্চে তাঁকে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। এর প্রায় দুই মাস পর কে বা কারা তাঁকে শিলংয়ে ফেলে যায়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। ভারতে যখন তিনি আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন।