আগামী বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওইদিন জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা এ তফসিল ঘোষণা করবেন।
৪ নভেম্বর (রোববার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী এ কথা জানান।
এর আগে ৩৯তম কমিশন বৈঠকে তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সিইসির ভাষণ ৮ নভেম্বর অপারাহ্নে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তফসিলের পর ৪৫দিনের কাছাকাছি সময়ে ভোটগ্রহণ করা হবে।
৪৫ দিন হিসাব করলে দেখা যায়, ২২ ডিসেম্বর হয়। এদিন শনিবার, ২১ ডিসেম্বর শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার। এদিকে ১৭ ডিসেম্বর সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ও ১৯ ডিসেম্বর বুধবার। আর ২৩ ডিসেম্বর ৪৬তম দিন হয়, এদিন রোববার হয়।
এর আগে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছিলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংলাপ শেষে তফসিল দেওয়ার দাবি জানায়।
কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমরা অপেক্ষা করছি। ৪ নভেম্বর তফসিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। সব বিষয় বিবেচনা করে আমরা তফসিল পিছিয়ে দিয়েছি।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, কত আসনে ব্যবহার করা হবে, সে রকম সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তবে সীমিত সংখ্যক আসনে হবে, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত হবে।
বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে আদালতের নির্দেশনার কারণে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কি-না, এমন প্রশ্ন শাহাদাৎ হোসেন প্রথমে এড়িয়ে গেলেও উঠে যাওয়ার সময় বলেন, ‘পরে জানতে পারবেন।’
‘বিএনপির গঠনতন্ত্র নিয়ে আদালতের একটি নির্দেশনা আছে। আমাদের তা মানতে হবে। ইভিএম ও মনোনয়নপত্র সংক্রান্ত বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং হলেই গেজেট করা হবে
সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।