সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, রিয়াল এডমিরাল (অব.) মাহবুব আলী খান একাধারে যেমন ছিলেন দেশ প্রেমিক দেশের রক্ষক, তেমনি ছিলেন একজন জনদরদী নেতাও। বৃটিশ আমল থেকে এই সভ্রান্ত পরিবারের সদস্যরা দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করে গেছেন। এই পরিবারেরই সন্তান হিসেবে মাহবুব আলী খানও সরকারের মন্ত্রী থাকাকালে সিলেটের উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন। সিলেটবাসী থাকে আজো শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। সিলেটের উন্নয়নে মাহবুব আলী খানের অবদান অনস্বীকার্য। রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খান একজন দেশপ্রেমিকের প্রতিকৃতি।
শনিবার বাদ আছর সিলেটের কৃতি সন্তান রিয়াল এডমিরাল (অব.) মাহবুব আলী খানের ৩৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিলের পর শিরনী বিতরণ করা হয়।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, অন্যদিকে অবিভক্ত বিহার, আসাম ও উড়িষ্যার জমিদার পরিবার খান বাহাদুর ওয়াসিউদ্দিন আহমেদের কন্যা যুবাইদা খাতুন ছিলেন মাহবুব আলী খানের মা। আর যুবাইদা খাতুনের দাদা ব্রিটিশদের থেকে অর্ডার অব এমপায়ার খেতাব পান। ১৮৯৭ সালে ভারতে চতুর্থ মুসলিম হিসেবে আইসিএস লাভ করেছিলেন চাচা গজনফর আলী খান। গজনফর আলী খান ১৯৩০ সালে অর্ডার অব এমপায়ার খেতাব পান। এম এ খানের দাদা ছিলেন ভারতের বিশিষ্ট চিকিৎসক খান বাহাদুর আজদার আলী খান। তিনি বিহার ও আসামের দারভাঙ্গা মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও পাটনা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯২৪ সালে তিনি সিলেটে নাফিজাবানু চ্যারিটেবল হাসপাতাল ও ১৯৩০ সালে ম্যাটার্নিটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। এমন পরিবারের সন্তান দেশের জন্য যে অবদান রেখেছেন তা চিরস্মরনীয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মোঃ শাহাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড. হাসান পাটোয়ারী রিপন, জেলা বিএনপির নেতা মাহবুবুল হক চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুহিনুর আহমদ, ফালাকুজ্জামান চৌধুরী জগলু, হাজী তাজরুল ইসলাম তাজুল, অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান সুয়েব, মাসুম আলম, মকসুদ আহমদ, আলতাফ হোসেন সুমন, লোকমান আহমদ, আব্দুল লতিফ খান, বদরুল ইসলাম জয়দু, জিলা মিয়া মেম্বার, আজমল আলী, মোস্তফা কামাল, ডাঃ এনামুল হক, আব্দুল মালিক মল্লিক, বজলুর রহমান ফয়েজ, মনির ইসলাম তুরণ, মুহিবুর রহমান মুহিব, শাহ মাহমদ আলী, এনামুল হক মাক্কু, আলা উদ্দিন আলাই, সাহেদুল ইসলাম বাচ্চু, অলিউর রহমান অলি, শাহ আলম, রাসেল আহমদ রানা, হাজী গোলজার আলী, ফয়জুর রহমান পীর, মাসুম মেম্বার, নুরুল আমিন দোলন, ফারুক মেম্বার, আব্বাস আলী, সুমেল আহমদ চৌধুরী, সোহেল ইবনে রাজা, মাহবুব আহমদ চৌধুরী, মাসরুর রাসেল, ফয়জুর রহমান বিলাল, সুফি আহমদ চৌধুরী, মকসুদুল করিম নুহেল, আতাউর রহমান, সাদেক আহমদ, বখতিয়ার খান ইমরান, আব্দুল মজিদ, পাবেল রহমান, সোনাহর আলী সোহেল, নুরুল আমিন, আব্দুল মুনিম, আল মামুন, রায়হানুল হক, সামসুর রহমান শামীম, জয়নাল আবেদিন, সুমন আহমদ বিপ্লব, শাহ টিপু সুলতান, আসাদ মিয়া রুকন, আল আমিন, শফিক মিয়া, আজহার আলী অনিক, ইলাছ মিয়া, লিটন আহমদ, হুময়ান রশিদ, সারোয়ার হোসেন বাদল, শেখ বদরুল ইসলাম বাবু, আবু বকর সিদ্দিক, আবু সালেহ, সজিব আহমদ, আব্দুল মুকিত জাহাঙ্গীর, ফাহিম আহমদ, আক্তার হোসেন, খালেদুর রহমান সানি, রাসেল আহমদ, জুয়েল আহমদ, রাজ খান ইমন, সোহেল খান, মিজান আহমদ, ফয়সল আহমদ নাহিদ, এনামুল হক, ফয়সল আহমদ, মিফাতউল ইসলাম রাসেদ প্রমুখ।