দেশে ফেরার সাপ্তাহ হয়নি, সৌভাগ্য হয়েছিল একটি জামেয়া দেখার।জামেয়াটি একজন ঘনিষ্ট বন্ধু প্রতিষ্ঠিত।তাঁর অত্যন্ত মুগ্ধকর আপ্যায়নে আমি বিমুগ্ধ।সেখানে বসে আমার এবং তাঁর পরিচিত অনেকের সাথে মুঠোফোনে কথা হল।অনেক অনেকের কাছে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল আমার দেশে অবস্থানের কথা।
পরদিন সাত সকালে বন্ধুটি ফোন করে সাথে নিয়ে আসলেন সুপরিচিত একজন ব্যক্তিত্বকে। আসলে ঐ সুপরিচিতজনই বন্ধুটিকে বাধ্য করেছেন এ সাক্ষাতের আয়োজনে।
আমি ভাবলাম দেশে ফিরায় হয়ত নিছক সৌজন্য মোলাকাত। কিন্তু মোলাকাতেই খোলাসা হয়ে যায় তাঁর নিয়ত।তাঁর খাস নিয়ত আমার সাক্ষাতের মত ছোট কিছু নয় বরং আরো বড় কিছু।তাঁর দ্বিতীয় নাক ঠিক যেন একটু সুগন্ধ পেয়েছে।তাঁর তৃতীয় চোখ ঠিক যেন কিছু খোঁজ পেয়েছে। তাই তাঁর তৃতীয় হাত প্রসারিত করতেই যেন এই মোলাকাতের বাহানা। পঁচিশ K আমার জেব থেকে ক্ষয় হয়েছে ঠিকই,কিন্তু,বোকা আমি,এখনো জানি না কোন ছেঁড়া জায়গায় এ অর্থ জোড়া লেগেছে।
সালাম-মোলাকাতের চেয়ে তাঁর এই চাঁদা নেয়ার চেতনা,তাঁর কাছে হয়ত আরো মহান। একদিন হয়ত তাঁর এই চাঁদা-চেতনা তাঁকে আরো সুপরিচিত করে তুলবে কারণ জামানা পরিবর্তিত।